প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রশ্ন উত্তর পর্ব 2 | Primary Teacher Interview Questions 2 in Bengali

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রশ্ন-উত্তর এর নমুনা আমরা নিচে বিস্তারিত হবে আলোচনা করেছি। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক পর্ষদ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ খুব শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। তাই আমরা বিগত বছরের ইন্টারভিউ কি কি কোশ্চেন জিজ্ঞাসা করেছিল সেগুলো বিভিন্ন প্র্যাক্টের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছি তাই তোমাদের সুবিধার্থে জন্য সেই কোশ্চেনগুলি নিজে খুব সুন্দরভাবে আলোচনা করা হলো । আজ এই নিবন্ধে ইন্টারভিউ এর প্রস্তুতিতে সহযোগিতা করার জন্য সেই ধরনের কিছু কমন প্রশ্ন (Primary Teacher Interview Questions) এখানে আলোচনা করছি।

পরীক্ষার নাম West Bengal Teachers Eligibility Test (WB Primary TET)
পরীক্ষা পরিচালনাকারী সংস্থা West Bengal Board of Primary Education (WBBPE)
পরীক্ষার স্তর রাজ্য-স্তর
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.wbbprimaryeducation.org
Contents hide

প্রশ্ন-আপনার বিদ্যালয় কোন ছাত্র ছাত্রী যদি খুব দারিদ্র পরিবার থেকে আসে তাহলে আপনি তার জন্য কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন?

উওর-সেই শিশু ও শিশুর পরিবারকে আর্থিক দিক দিয়ে নিশ্চিত করার জন্য বিদ্যালয়ে শিশুর মিড ডে মিল, বইপত্রের খরচ ব্যবস্থা করব এবং অবৈতনিক শিক্ষাব্যবস্থা সঠিকভাবে বজায় থাকছে কিনা তা লক্ষ্য রাখব।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Instagram Group Join Now

প্রশ্ন-আপনি লক্ষ্য করলেন আপনার ক্লাসে কোন এক ছাত্র শিশুশ্রমের সাথে যুক্ত যার জন্য সে ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারে না, আপনি কি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন?

উওর-আমার কোনো ছাত্র যদি শিশুশ্রমের সাথে যুক্ত থাকে, তাহলে আমি প্রথমে সেই ছাত্রের অভিভাবকের সাথে কথা বলবো এবং শিশুশ্রমের খারাপ দিকগুলো তুলে ধরব এবং যদি প্রয়োজন হয় প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে ছাত্রটির স্কুল ফি মুকুব করার ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

অথবা, আমার কোনো ছাত্র যদি শিশুশ্রমের সাথে যুক্ত থাকে, তাহলে আমি প্রথমে সেই ছাত্রের অভিভাবকের সাথে কথা বলব এবং শিশুশ্রম যে আয়নীয় দন্ডনীয় অপরাধ তথা খারাপ দিকগুলো তুলে ধরব এবং যদি প্রয়োজন হয় শিক্ষক শিক্ষিকারা মিলে চাঁদা তুলে প্রতি মাসে ছাত্রের পড়াশোনার জন্য কিছু অর্থ সাহায্য করার ব্যবস্থা করব।

প্রশ্ন-শিক্ষার্থীদের শান্তি কতটা প্রয়োজন আছে? বা কোন ছাত্র ছাত্রী প্রশ্ন না করে আপনি কি তাদের দৈহিক শাস্তি দেবেন?

উওর-স্যার কোন ভাবেই দৈহিক বা মানসিকশাস্তি দেওয়া যাবে না। কারণ শাস্তি প্রবল নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে। ছাত্র ছাত্রী দের মানসিক অবস্থা বুঝে পড়াতে হবে এবং যে সব ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলের মধ্যে নিয়মশৃঙ্খলা ভঙ্গ করে বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও, তাদের বিশেষ কাউন্সেলিং ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রশ্ন-অমনোযোগী ছাত্র ছাত্রীদের কিভাবে পড়াবেন?

উওর-অমনোযোগী। ছাত্র-ছাত্রীদের মনোযোগী করে তুলতে শ্রেণিকক্ষকে বৈচিত্রময় ও আকর্ষণীয় করে তুলব, বিভিন্ন শিক্ষা প্রদীপন ব্যবহার করব। পড়াশোনার একঘেয়েমি কাটাতে শিক্ষা ভ্রমণ, শিক্ষা মেলা ইত্যাদি আয়োজন করব। অথবা অমনোযোগী ছাত্র- ছাত্রীদের পর্যবেক্ষণ রাখব এবং তাদের ভালোলাগা বিষয়ে চিহ্নিতকরণ করব। এই বিষয়ে তাদের সাথে সরাসরি কথা বলব এবং আলোচনার মাধ্যমে তাদেরকে প্রতি উৎসাহ দান করব।

প্রশ্ন-আপনি কিভাবে একটি বিদ্যালয়ের পরিবেশ গঠনে ভূমিকা পালন করবেন?

উওর-বিদ্যালয়ের পরিবেশকে বিভিন্ন পরিবেশের সঙ্গে স্বার্থক সম্পর্কযুক্ত করে শিক্ষার উপযুক্ত করে তুলব। আমার রুচিবোধ ও মূল্যবোধের সাহায্যে এমন ভাবে বিদ্যালয়ের পরিবেশ রচনা করব যাতে ছাত্র-ছাত্রীদের অপরিণত অবস্থা সার্থক পরিণতি লাভে সক্ষম হয়ে ওঠে।

একটি আদর্শ বিদ্যালয়ের পরিবেশ কেমন হওয়া উচিত?

উওর-অবশ্যই বিদ্যালয়ের পরিবেশ শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক এবং পঠন-পাঠনের অনুকূল পরিবেশ হবে। ছাত্র- ছাত্রীদের ক্রিয়াঙ্গন, মিড-ডে মিল খাওয়ার ব্যবস্থা, পাঠাগার, পানীয় জলের ব্যবস্থা, সুলভ শৌচাগার, দেওয়াল পত্রিকা, পঠন-পাঠনের সুবিধার জন্য বিভিন্ন ধরনের মডেল, চার্ট, মানচিত্র ইত্যাদির ব্যবস্থা থাকবে। সকলের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতা, সহানুভূতিশীল সম্পর্ক থাকবে।

প্রশ্ন-বিদ্যালয় এর আপনার কোনো সহকর্মী আপনার সাথে দুর্ব্যবহার করছে, আপনি তাহলে কি করবেন?

উওর-আমি প্রথম থেকেই সকল সহকর্মীদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করব এবং নিজেকে মানিয়ে চলার চেষ্টা করব। তারপরও যদি কেউ আমার সাথে দুর্ব্যবহার করে, তাহলে তার সাথে আমি সরাসরি কথা বলব, আমার কোনো ব্যবহারে সে অখুশি হলে বা নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হলে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করে নেব।

প্রশ্ন-যেদিন প্রধান শিক্ষক আসবেন না সেদিন কী আপনি তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে আসবেন?

উওর-আমার বাড়ি আসার সাথে প্রধান শিক্ষক আসা বা না আসার কোনো সম্পর্ক নেই। স্কুল ছুটি না হওয়া পর্যন্ত আমার ক্লাস থাকলে ক্লাস নেব এবং যদি ক্লাস নাও থাকে তবুও স্টাফ রুমে বসে থাকব।

প্রশ্ন-আপনার বিদ্যালয় যাওয়ার রাস্তা বহুদিন ধরে খারাপ, আপনি নিজে থেকে রাস্তা ঠিক করার ব্যাপারে কোনো ভূমিকা গ্রহণ করবেন?

উওর-প্রধান শিক্ষকের সাথে আলোচনা করে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পক্ষ থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে রাস্তা ঠিক করার জন্য স্মারকলিপি জমা দেব। রাস্তার বেহাল দশা এবং ছাত্রছাত্রীদের যাওয়া আসার ক্ষেত্রে সমস্যাগুলি তাদের অবগত করব, যাতে রাস্তা দ্রুত সারানো হয়।

প্রশ্ন-বিদ্যালয়কে সুন্দর করে সাজাতে আপনি কোন ভূমিকা নেবেন?

উওর-বিদ্যালয় হল আমার পরিবারের মতো এবং বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী আমার ভাই বোন তথা সন্তানতুল্য। আমি সবসময় চাইব বিদ্যালয়কে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে। বিদ্যালয় এর ফাঁকা জায়গায় বৃক্ষরোপণ, ফুলগাছ লাগানো, স্কুল বাড়ির দেওয়ালে অথবা পাঁচিলে বিভিন্ন মনীষীদের ছবিসহ বাণী লেখা, শ্রেণিকক্ষে দেওয়ালে বিভিন্ন বিজ্ঞানী, ম্যাপ অঙ্কন করা, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে দল তৈরি করে বিদ্যালয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব করে দেওয়া। সহকর্মী ও ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে বিভিন্ন মনীষীদের জন্মদিন, স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস, সরস্বতী পূজা, বাৎসরিক ক্রিয়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করব। আশাকরি এইভাবে বিদ্যালয়ের পরিবেশ সুন্দরভাবে সেজে উঠবে।

প্রশ্ন-আপনি কি ধূমপান করেন? বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ধূমপান করা উচিত ?

উওর- না।

প্রশ্ন-আচ্ছা বলুন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ধুমপান করা কেনো উচিত নয়?

উওর-বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এমন কিছু করা উচিত না যাতে ছাত্রছাত্রীর উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক, সেই কথা ভেবেই কোন শিক্ষকের ধূমপান করা উচিত নয়। শিক্ষক- শিক্ষিকাদের শুধুমাত্র পঠন-পাঠন নিতে ছাত্র ছাত্রীরা বিদ্যালয় আসে না, একজন শিক্ষকের সার্বিক গুণ, ব্যবহার ছাত্রছাত্রীরা অনুকরণ করার চেষ্টা করে। সুতরাং ছাত্র ছাত্রীর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এমন কাজ শিক্ষক শিক্ষিকাদের বিদ্যালয় এসে বর্জন করা উচিত। তার পরেও যদি কোন শিক্ষক ধূমপান করেন সেক্ষেত্রে গোপনীয়তা বজায় রাখা উচিত যাতে ছাত্র ছাত্রীদের উপর কোন নেতিবাচক প্রভাব সরাসরি না পড়ে।

প্রশ্ন-আপনি লক্ষ্য করছেন আপনার কোন সহকর্মী দীর্ঘদিন ধরে ঠিকমতো ক্লাস করে না বা নির্দিষ্ট সময়ে ক্লাসে যায় না, এর কোন প্রতিকার কি আপনি করবেন?

উওর-আমিও যেহেতু school পরিবারের একজন সদস্য, তাই কখনো চাইব না স্কুল বা ছাত্র-ছাত্রীদের কোন ক্ষতি হোক। যেহেতু তিনি আমার সহকর্মী তথাপি বন্ধুও। আমি তার সাথে, নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ে ক্লাসে না গেলে কি ধরণের সমস্যা তৈরি হয় বা ছাত্র- ছাত্রীদের কি রকম ক্ষতি হতে পারে সেই সব আশঙ্কা বোঝানোর চেষ্টা করব। তারপরেও যদি সে অভ্যাস বর্জন না করে তাহলে শিক্ষক অথবা পরিচালন সমিতির মিটিংয়ে এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য সকলকে অনুরোধ করব।

প্রশ্ন-বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মোবাইল ব্যবহার করতে দেওয়া উচিত কি?

উওর-আমার মনে হয় বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মোবাইল ব্যবহার করতে দেওয়া উচিত নয় কারণ বর্তমানে মোবাইল গুলো অত্যাধুনিক, অনেক ধরণের ফাংশান আছে। স্কুলে এসে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার প্রতি মনোনিবেশ না করে মোবাইলের প্রতি আসক্ত থাকবে এবং শিক্ষক মহাশয় পঠন-পাঠনে ব্যাহত হবে।

প্রশ্ন-উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য কি?

উওর-উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য হল ছাত্র-ছাত্রীদের সর্বাঙ্গীণ, সুষম ও সুসামঞ্জস্যপূর্ণ বিকাশে সহায়তা করা।

প্রশ্ন-বিদ্যালয় শৃঙ্খলার প্রয়োজন কেন?

উওর-বিদ্যালয়ে শৃঙ্খলার ভেতর দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সু-অভ্যাস গঠিত হয় এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিদ্যালয় পরিপূর্ণতা পায়। ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ জীবন সুশৃঙ্খলতার জন্য বিদ্যালয়ে শৃঙ্খলা অবশ্যই প্রয়োজন।

প্রশ্ন-একটি উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় শৃঙ্খলা স্থাপনের মূল সমস্যা গুলি কি কি বলে আপনি মনে করেন?

উওর-আমার মনে হয় বিদ্যালয়ে শৃঙ্খলা স্থাপনের মূল সমস্যা গুলি হল শিক্ষকের ব্যক্তিত্বের অভাব, অমনোবৈজ্ঞানিক রুটিন, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক ও ছাত্র অনুপাতের তুলনায় বেশি সংখ্যক ছাত্রের বিদ্যালয়ের অবস্থান এবং বিদ্যালয়ে রাজনৈতিক প্রভাব ইত্যাদি।

প্রশ্ন-উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষা কে সার্বজনীন বলা হয় কেন?

উত্তর-প্রত্যেক মানুষেরই সংস্থা ও সার্থক জীবন যাপনের জন্য উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষা একান্তই প্রয়োজন। উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তি সত্তার নূন্যতম ও সুষমা সর্বাঙ্গিক বিকাশ ঘটানো সম্ভব। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের ভিত্তি রুমি গঠনে ও সুন্দর ভবিষ্যৎ জীবন গড়ে তুলতে সু নাগরিকতা রূপ সমাজে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষা গুরুত্ব সার্বজনীন।

প্রশ্ন-অন্য রাজ্যের সাথে আমাদের রাজ্যের উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্থক্য কি?

উওর- অন্যান্য রাজ্যে উচ্চ প্রাথমিক বলতে বোঝায় ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত এবং আমাদের রাজ্যে উচ্চ প্রাথমিক বলতে বোঝায় পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত। তাছাড়া অন্যান্য রাজ্যের উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলি আলাদা হয় বা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত থাকে এবং আমাদের রাজ্যের উচ্চ-প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলি সাধারন মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত থাকে। তবে আমাদের রাজ্যেও অনেক জায়গায় শুধুমাত্র উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আলাদা করে স্থাপন করা শুরু হয়েছে ।

প্রশ্ন-আমাদের রাজ্যে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষার পাঠক্রমের প্রধান ভিত্তি কি?

উওর-আমাদের রাজ্যে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ্যক্রমটি আধুনিক চিন্তা ধারায় গঠিত। শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক বিকাশের সহায়ক রূপে কাজ করে। এই পাঠ্যক্রম ও  প্রয়োগমুখী করে তোলার উদ্দেশ্য বহন করে। পার্থক্য মধ্যে খেলাধুলা, শরীরচর্চা, উৎপাদন ও সৃজনমূলক কাজ, প্রত্যঙ্গ অভিজ্ঞতা মূলক কাজ ইত্যাদি কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রশ্ন-আপনি কি মনে করেন আমাদের রাজ্য উচ্চ-প্রাথমিক শিক্ষা প্রসারের ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে?

উওর-আমাদের রাজ্যে শিক্ষার পরিকাঠামোগত কারণে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্যমাত্রা থেকে দূরে আছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়া শেষ করার পর ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষার জন্য বিদ্যালয়  পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে দেখা যায় উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি হতে হয়। ফলে অনেকেই দূরত্ব বা নতুন পরিবেশে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার জন্য পড়াশোনা ছেড়ে দেয়। উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষার জন্য সম্পূর্ণভাবে অবৈতনিক শিক্ষা লাভের সুযোগ থেকে ছাত্র ছাত্রীরা এখনো বঞ্চিত। শিক্ষার সমান অধিকার ও সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠা এই দুই উদ্দেশ্যকে গুরুত্বসহকারে কার্যকরী করার ক্ষেত্রে প্রশাসনের সদিচ্ছা অভাব লক্ষ্য করা যায়। যার ফলে আমাদের রাজ্যে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে এখনও সার্বিক সাফল্য লাভ করেনি।

প্রশ্ন-উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সঠিক মূল্যায়নের জন্য কি কি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেয়া। উচিত?

উওর-উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দুর্বলতার কারণ গুলি অনুসন্ধান করে, তা সংশোধন করে দেওয়া। ছাত্রছাত্রীরা নিজে থেকে কতটুকু শিখছে তা মূল্যায়নের মাধ্যমে পরিমাপ করা।

প্রশ্ন-গ্রামের উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষা ও শহরে প্রাথমিক শিক্ষার মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কি?

উওর-শহরাঞ্চলে উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পূর্বে বিভিন্ন মন্তেশ্বরি ও Kindergarten পড়ার সুযোগ পায় ফলে তারা গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের দিক থেকে একটু উন্নত মেধা সম্পন্ন হয়। শহরের উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর তুলনায় গ্রামাঞ্চলের উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলি পরিকাঠামো, পর্যাপ্ত শিক্ষকের সংখ্যা, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ইত্যাদি পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।

পশ্চিমবঙ্গ প্রাইমারি টেট সংক্রান্ত আরো আর্টিকেল পড়ার জন্য নিচের সারণী অনুসরণ করুন
পশ্চিমবঙ্গ প্রাইমারি টেট সিলেবাস প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রশ্ন-উত্তর পর্ব 1
WB Primary TET Previous Year Question Papers প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রশ্ন-উত্তর পর্ব 3
পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষক নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রশ্ন-উত্তর পর্ব 4