পিকক মডেল কি | peacock model in bengali

Spread the love

পিকক মডেল কি | peacock model in bengali |Peacock model এর পূর্ণরূপ কি | ময়ূর মডেল বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কীভাবে উপকৃত হয়েছিল | ময়ূর মডেলের অধীনে cce a এবং cce b কি | ভাষা শিক্ষায় ময়ূর মডেলের প্রাসঙ্গিকতা কি

পিকক মডেল কি?

এখানে বলা প্রয়োজন নিরবচ্ছিন্ন সার্বিক মূল্যায়নে পুরো শিক্ষাবর্ষ জুড়ে শিক্ষার্থীর সার্বিক বিকাশের ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণ ও নথিবদ্ধকরণ হয়। তাই নতুন পাঠক্রমে প্রস্তুতিকালীন ও পর্যায়ক্রমিক এই দু’ধরনের মূল্যায়নের ভাবনাই স্থান পেয়েছে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Instagram Group Join Now

প্রস্তুতিকালীন (Formative) মূল্যায়ন : 

শ্রেণিকক্ষের ভিতরে ও বাইরে শিখনের সময় প্রস্তুতিকালীন মূল্যায়ন (Formative Evaluation) ঘটবে। এই মূল্যায়নের জন্য পাঁচটি সূচকের (Indicators) কথা ভাবা হয়েছে। এই সূচকগুলি শিক্ষার্থীর সার্বিক বিকাশের মাপকাঠি হিসেবে ব্যবহৃত হবে।এক্ষেত্রে মনে রাখা প্রয়োজন যে এই সূচকগুলি জাতীয় পাঠক্রমের রূপরেখা 2005,শিক্ষার অধিকার আইন 2009 ও নির্মিতিবাদনির্বাচন করা হয়েছে।শ্রেণিকক্ষের ভিতরে ও বাইরে শিখনের সময় শিক্ষিকা ও শিক্ষকেরা এই সূচকের ব্যবহার . বাহারে দর্শনের সময় অধিক।

এর ভাবনা ও দর্শনকে মাথায় রেখেই করবেন।সূচকগুলি এই উদ্দেশ্য নিয়েই তৈরি করা হয়েছে, যাতে পাঠক্রমিক এবং সহপাঠক্রমিক নামে আলাদা কোনও বিভাজন না থাকে। সূচকের সংখ্যা পাঁচ রাখা হয়েছে, কেননা তা শিক্ষিকা / শিক্ষকের পক্ষে ব্যবহারের উপযোগী এবং সুবিধাজনক।আর একেকটি সূচক শিক্ষার্থীর বিকাশের একাধিক ক্ষেত্রের সুনির্দিষ্ট প্রতিফলন ঘটায়।

সূচকগুলি হলো :

  • অংশগ্রহণ (Participation)
  • প্রশ্ন ও অনুসন্ধান (Questioning and Experimentation)
  • ব্যাখ্যা ও প্রয়োগের সামর্থ্য (Interpretation and Application )
  • সমানুভূতি ও সহযোগিতা (Empathy and Co-operation )
  • নান্দনিকতা ও সৃজনশীলতার প্রকাশ (Aesthetic and Creative Expression)

THE PEACOCK MODEL

পর্যায়ক্রমিক (Summative) মূল্যায়ন :

নতুন পাঠক্রমে তিনবার পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রথমটি এপ্রিলের প্রথম থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে।দ্বিতীয়টি জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে।তৃতীয়টি নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে।বিভিন্ন বিষয়ে লিখিত পদ্ধতিতে পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কয়েকটি দিক বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে-

  1. প্রশ্নপত্রের মধ্যে Open-ended question framing -এর দর্শন যেন কাজ করে।(অন্তত মোট প্রশ্নের 1/3 অংশে এই ধরনের মুক্ত-চিন্তার চর্চার পরিসর থাকা আবশ্যক)।
  2. এছাড়াও পূর্ণমানের সঙ্গে সমানুপাতিক বিন্যাসে শিক্ষার্থীর বিশ্লেষণী ক্ষমতা ও সৃজনশীলতার, স্বল্প- অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ -দীর্ঘ পরিসরে লিখিত প্রকাশের যাতে সুযোগ ঘটে ; শিক্ষিকা / শিক্ষককে সে বিষয়েও সচেতন থাকতে হবে।
  3. শিক্ষার্থীর মধ্যে অর্জিত জ্ঞানের ধারণ ক্ষমতার (retention level) যেন বৃদ্ধি হয় সে দিকটাও খেয়াল রাখতে হবে, তবে তা যেন কখনই মুখস্থ বিদ্যাকে প্রশ্রয় না দেয়।
  4. বিভিন্ন প্রস্তুতিকালীন এবং পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নে শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত দুর্বলতা গঠনমূলক প্রক্রিয়ায় প্রতিকার করতে হবে ।
  5. প্রথম পর্যায়ে অর্জিত সামর্থ্য গুলির প্রয়োগের পরিসর থাকবে দ্বিতীয় পর্যায়ে, একইভাবে প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে অর্জিত সামর্থ্য গুলির প্রয়োগের পরিসর যেন তৃতীয় পর্যায়েও থাকে।
  • 2014 শিক্ষাবর্ষে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ‘সহজপাঠ’ ছাড়া যেহেতু ‘আমার বই” নামক একটিই সমন্বিত বই পাঠ্য, তাই পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রেও পৃথক বিষয় বিভাজন না করে শিক্ষার্থীর বিভিন্ন দক্ষতার বিকাশেরই মূল্যায়ন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
  • মনে রাখতে হবে প্রস্তুতিকালীন (Formative) ও পর্যায়ক্রমিক (Summative) এই দু’ধরনের মূল্যায়নের মধ্যেদৃষ্টিভঙ্গিগত তফাত থাকলেও তা একে অপরের পরিপূরক। প্রস্তুতিকালীন মূল্যায়ন প্রধানত diagonostic । পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে তা হলো judgemental। তাই এই দু’ধরনের মূল্যায়নে প্রাপ্ত গ্রেড বা নম্বরকেযোগের মাধ্যমে একত্রিত করা অবৈজ্ঞানিক। সেইজন্য রিপোর্ট কার্ডে প্রস্তুতিকালীন (Formative) ক্ষেত্রে শুধুমাত্রমান (নম্বর) এবং পর্যায়ক্রমিকের (Summative) ক্ষেত্রে মান ( Number) ও পরিমাপক (Grade), এই উভয়েরই ব্যবহার ঘটবে।
  •  শিক্ষার্থীর জীবনের প্রারম্ভিক শ্রেণিগুলিতে প্রস্তুতিকালীন মূল্যায়নকে পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের থেকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।তারপর ধীরে ধীরে পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের গুরুত্ব বেড়েছে, যাতে শিক্ষার্থী মাধ্যমিক স্তরের জন্য উপযুক্ত প্রস্তুতির সুযোগ পায়।
  • শিক্ষার্থী নিজেও যাতে নিজের বিকাশ সম্বন্ধে স্পষ্ট ও স্বচ্ছ ধারণা করতে পারে, সেজন্য মূল্যায়নের রিপোর্ট- কার্ডে সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা (Rubrics) ও পরিমাপক (Grade) দেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কটি সামেটিভ এক্সাম হয় এবং কি কি মাসে হয়?

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সামেটিভ এক্সাম হয় তিনটি।

  • প্রথমটি হয় এপ্রিল এর শেষে বা মে মাসের শুরুতে।
  • দ্বিতীয়টি হয় জুলাই এর শেষে বা আগস্ট এর শুরুতে।
  • তৃতীয়টি হয় নভেম্বর এর শেষে বা ডিসেম্বরের শুরুতে।

প্রশ্ন-PEACOCK CARD FOR CCE B বিষয়টি কী এবং এটি কীভাবে ব্যবহৃত হবে?

উত্তর-প্রতিটি পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের আগে শিক্ষিকা / শিক্ষকেরা নিম্নে মুদ্রিত (PEACOCK CARD FOR CCE-B) নামক সংকলিত নথিটি শ্রেণিশিক্ষিকা/শিক্ষকের কাছে জমা দেবেন।স্তম্ভটির নীচে প্রথম প্রস্তুতিকালীন পর্বে (শিক্ষাবর্ষের শুরু থেকে প্রথম পর্যায়ক্রমিকের আগে পর্যন্ত) যে কয়টি প্রস্তুতিকালীন মূল্যায়ন হবে তার গড় মান বসবে। এইভাবে সম্পূর্ণ শিক্ষাবর্ষ জুড়ে তিনটি পর্যায়ে প্রস্তুতিকালীনের (FL/F2/F3) ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি অনুসৃত হবে।

WhatsApp Group Click Here
Telegram Click Here
Facebook Page Click Here

ফরমেটিভ এবং সামেটিভ অ্যাসেসমেন্ট বেসিক পার্থক্য কি ?

শিক্ষার্থীরা কোন একটি বিষয় কতটা শিখেছে, কি রকম ত্রুটি আছে, সেইগুলি কীভাবে সংশোধন করা যাবেইত্যাদি বিষয়গুলি দেখার জন্য অর্থাৎ শেখার উন্নতির পর্যবেক্ষণের জন্য গঠনমূলক মূল্যায়ন (Formative Assessment) করা হয়। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা যে বিষয়টি শিখেছে সেটা ফাইনাল মূল্যায়ন বা কর্মদক্ষতার কোন একটি পর্যায়ে যে পদ্ধতিতে করা হয় সেটি হলো সমষ্টিগত মূল্যায়ন (Summative Assessment)

প্রথাগত ও প্রথাবহির্ভূত শিক্ষার পার্থক্য কীরূপ?

  • নিয়ন্ত্রিত বা প্রথাগত শিক্ষা – সমাজ দ্বারা স্থাপিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সচেতন ভাবে এবং উদ্দেশ্যপূর্ণ ভাবে নির্দিষ্ট পাঠক্রম অনুসারে নির্দিষ্ট এবং যোগ্য ব্যক্তি (শিক্ষক) দ্বারা শিক্ষার্থীদের যে বিশেষ শিক্ষাদান করা হয়, তাই হলো প্রথাগত বা বিধিবদ্ধ বা নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা ।
  • প্রথাবহির্ভূত বা অপ্রথাগত শিক্ষা – এই শিক্ষাব্যবস্থা প্রথাগত বিদ্যালয়ের বাইরে সংগঠিত একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।এই শিক্ষাব্যবস্থা নির্দিষ্ট শিখন পরিস্থিতে সম্পন্ন হয়।এই শিক্ষাব্যবস্থা নির্দিষ্ট জনগণের (শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক) জন্য স্থির করা হয়।

পিকক মডেল সম্পর্কিত FAQs 

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ময়ূর মডেল কি?

ময়ূর মডেল “লার্নিং টু হতে” এবং “লার্নিং টু লিভ টুগেদার” ধারণার সাথে “জানতে শেখা” এবং “করতে শেখা” এর ধারণার যত্ন নেয়।

Full form of peacock model (পিকক মডেল) ?

Participation, Experimentation, Application, Cooperation, and Knowledge Model

পশ্চিমবঙ্গ প্রাইমারি টেট সংক্রান্ত আরো আর্টিকেল পড়ার জন্য নিচের সারণী অনুসরণ করুন
প্রাথমিক প্রাথমিক ইন্টারভিউ প্রশ্ন উত্তর পর্ব 1  প্রাথমিক প্রাথমিক ইন্টারভিউ প্রশ্ন উত্তর পর্ব 3
প্রাথমিক প্রাথমিক ইন্টারভিউ প্রশ্ন উত্তর পর্ব 2 প্রাথমিক প্রাথমিক ইন্টারভিউ প্রশ্ন উত্তর পর্ব 4
পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষক নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রাথমিক প্রাথমিক ইন্টারভিউ প্রশ্ন উত্তর পর্ব 6


Spread the love

My name is Wasif Hossain. I have been teaching children since graduation as well as writing on various topics with friends. Currently, I am a government teacher. I have also passed many government job exams.