WB Primary Interview | WB Primary Interview | ইংরেজি বিষয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্ন | শিক্ষকতার ইন্টারভিউ প্রশ্ন 2025 | প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রশ্ন | প্রাইমারি ভাইবা পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর | প্রাইমারি ইন্টারভিউ প্রশ্ন | শিক্ষকতার ইন্টারভিউ প্রশ্ন | প্রাইমারি ইন্টারভিউ | প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা সম্পর্কিত ইন্টারভিউ প্রশ্ন | বিতর্কমূলক প্রশ্ন প্রাইমারি ইন্টারভিউ
WB Primary Interview ; প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রশ্ন-উত্তর এর নমুনা আমরা নিচে বিস্তারিত হবে আলোচনা করেছি। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক পর্ষদ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ খুব শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। তাই আমরা বিগত বছরের ইন্টারভিউ কি কি কোশ্চেন জিজ্ঞাসা করেছিল সেগুলো বিভিন্ন প্র্যাক্টের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছি তাই তোমাদের সুবিধার্থে জন্য সেই কোশ্চেনগুলি নিজে খুব সুন্দরভাবে আলোচনা করা হলো । আজ এই নিবন্ধে ইন্টারভিউ এর প্রস্তুতিতে সহযোগিতা করার জন্য সেই ধরনের কিছু কমন প্রশ্ন (WB Primary Interview) এখানে আলোচনা করছি।
WB Primary Interview 2025 | |
পরীক্ষার নাম | West Bengal Teachers Eligibility Test (WB Primary TET) |
পরীক্ষা পরিচালনাকারী সংস্থা | West Bengal Board of Primary Education (WBBPE) |
পরীক্ষার স্তর | রাজ্য-স্তর |
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট | www.wbbprimaryeducation.org |
প্রশ্ন-ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে ইউনিফর্ম কেন পরতে বলা হয়?
উত্তর-এর একাধিক কারণ রয়েছে। কারণগুলি নিম্নরূপ-
- শিশুরা হয় খুব চটপটে, দুরন্ত ও তুলনাপ্রবণ। এবার বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষের সন্তানেরা একটি স্কুলে পড়ে থাকে, যাদের আর্থিক অবস্থা সমান নয়। তাই সব ছাত্রছাত্রীর ব্যক্তিগত পোশাকে ভিন্নতা থাকবে। কারও পোশাকটি অনেক দামী এবং ঝলমলে আবার কারোটি অতি সাধারণ। সঙ্গতভাবেই নিম্ন মানের পোশাক যে পরবে তার মন খারাপ থাকবে। শ্রেণী বৈষম্য যাতে শিক্ষার্থীদের মনকে আক্রান্ত না করে এ কারণেই মূলত ইউনিফর্ম এর প্রচলন শুরু হয়
- একই রকম পোশাক পড়লে সবাইকে এক রকম লাগার কারণে স্বাভাবিক ভাবে সুন্দর লাগে।
- প্রত্যেক স্কুলের নিজস্ব মনোনীত ইউনিফর্ম রয়েছে, এটা ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচয় বহন করে।
- পথেঘাটে কোন বিপদ হলে অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।
- বখাটে ছেলেরা বিরক্ত করার সাহস পায় না।
এই সব কারণেই আমার মনে হয় প্রত্যেক স্কুলের বাচ্চাকে তার স্কুলের নিজস্ব ইউনিফর্ম পরতে বলা হয়।
প্রশ্ন-গ্রাজুয়েশনের পরে বি এড না করে ডি এল এড কেন করেছেন?
উত্তর-নিজেকে শিক্ষক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন আমি ছোট থেকেই দেখছি। সমাজের বৃহৎ স্বার্থে কাজ করা বা শিশুদেরকে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার লক্ষ্য আমার অনেক আগে থেকেই। এমত অবস্থায় গ্রাজুয়েশন করার পরেই পারিবারিক কারণে আমার একটি চাকরীর খুব প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সেই সময় দেখলাম শিক্ষকতা পেশায় আসতে গেলে বি এড বা ডি এল এড ডিগ্রী দরকার। কিন্তু সেই সময় বি এড এর গ্রহণ যোগ্যতা প্রাইমারীতে ছিলো না। তাই আমি দেখলাম বি এড না করে ডি এল এড করলে আমি প্রাইমারী ও আপার প্রাইমারী দুটি এক্সামই দিতে পারব। এই জন্যই আমি বিএড না করে ডিএলএড করি।
প্রশ্ন-আপনি কি শিক্ষার্থীদের শাস্তিদানের বিষয়টিকে সমর্থন করেন?
উত্তর-শিশু শিক্ষার্থীদের শাস্তি দানের বিষয়টিকে আমি একেবারেই সমর্থন করিনা। শিক্ষার অধিকার আইনে পরিষ্কার ভাবে বলা আছে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক ভাবে কোন শাস্তিই গ্রহণযোগ্য নয়। কোন ভাবেই শিশুদের মনে ভয়, ভীতি এই সমস্ত বিষয়ের সঞ্চার করা যাবে না। শিশুদেরকে ভালোবেসে আনন্দের মধ্যে রেখে তাকে নতুন কোন বিষয় শেখাতে হবে বা তার শিক্ষাদান করতে হবে।
প্রশ্ন-আপনি শহরে না গ্রামে বিদ্যালয় চান?
উত্তর-শিক্ষকতা একটি মহান পেশা, আমি এই পেশার সঙ্গে যুক্ত হতে চাই। আর এই জন্যই আমি নিজেকে তৈরি করেছি। এই পেশার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য আমি শহর বা গ্রাম নয় পশ্চিমবঙ্গের যেকোন স্থানে যেতে প্রস্তুত। তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে শহরের তুলনায় গ্রামের স্কুলে শিক্ষক হিসাবে যোগদান করাটা বেশী পছন্দ করি। কারণ শহরের বাচ্চারা যতটা আধুনিক শিক্ষা পাচ্ছে বা শহরের শিশুরা বিভিন্ন সুবিধার জন্য শিক্ষায় যতটা এগিয়ে সেই তুলনায় গ্রামের বাচ্চারা বিভিন্ন অসুবিধার কারণে আধুনিক শিক্ষায় ততটা পিছিয়ে। আমি গ্রামের বাচ্চাদের মধ্যে আধুনিক মানের শিক্ষা সঠিক ভাবে দিতে চায়। আর তার জন্যই আমি গ্রামের স্কুলে শিক্ষক হিসাবে যোগদান করতে চাই।
প্রশ্ন-অতীতে জনহিতকার কি কাজ করেছেন?
উত্তর-আপনি কোন এক এলাকার বন্যার সময় দুর্গত মানুষের ত্রাণসামগ্রী ও আশ্রয়স্থলে পৌঁছে দিতে যে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন তার উল্লেখ করতে পারেন। আপনি যদি ঝড়ের সময় অসহয় মানুষের জন্য কিছু করে থাকেন সেটাও উল্লেখ করতে পারেন। এছাড়া অতীতে আপনার এলাকায় রক্তদান শিবিরে আপনি বিশেষ ভূমিকায় থাকলে বা বাল্য বিবাহ বা থ্যালাসেমিয়ার বিরুদ্ধে প্রচার যে কোন ধরণের কাজে বিশেষ ভূমিকায় অংশগ্রহণ করে থাকলে জানাবেন। তবে যে বিষয় উল্লেখ করবেন সেই বিষয় সম্পর্কে আপনার যেন যথার্থ অভিজ্ঞতা থাকে সেই বিষয়টি লক্ষ্য রাখবেন।
প্রশ্ন-বিদ্যালয় জন্য বিশেষ কিছু কি করবেন?
উত্তর-বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার মতো মহান পেশার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরে আমার প্রথম ও প্রধান কাজ হবে শিক্ষার্থীদের সঠিক রূপে শিক্ষা দেওয়া এবং তাদের যাতে সর্বাঙ্গিন বিকাশ ঘটে সেই দিকে নিজেকে পুরোপুরি নিয়োজিত করা কর্তব্য ও নিষ্ঠার সঙ্গে। এর পাশাপাশি বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নতি কি ভাবে ঘটানো যায় তার চেষ্টা চালিয়ে যাব। সমাজের সার্বিক স্তরে বিদ্যালয়ের গুণগত মান এবং সুনাম বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন লক্ষ্য নির্ধারণ এবং তার সঠিক ও ফলপ্রসূ রুপায়নই হবে আমার প্রধান লক্ষ্য।
প্রশ্ন-স্কুলে কি ধর্মগ্রন্থ পড়ানো উচিত?
উত্তর-উচিত অনুচিত এর প্রসঙ্গে আমি ঠিক যাচ্ছি না। তবে নীতিবোধক গল্প হিসাবে, উপদেশ মূলক গল্প হিসাবে, জীবনী শক্তিতে মানুষকে সঠিক রূপে ভরপুর করার জন্য, মানবিক সত্ত্বার বিকাশ, মনুষ্যত্ব বোধকে আরও সামাজিকরন করার জন্য স্কুলে বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিয়ে স্কুলে পড়ানো যেতে পারে। এতে করে মানুষের মধ্যে সহনশীলতা, অপর ধর্মের প্রতি সহিষ্ণুতা, অন্যের ধর্মকে সঠিক ভাবে জানার প্রবণতা শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকটাই বাড়বে। এতে করে সামাজিক অবক্ষয়, হিংসা, বিদ্বেষ, বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা অনেকাংশেই কমে যাবে।
প্রশ্ন-স্কুলে তো অনেক ধর্মালম্বী শিক্ষার্থী থাকে, সেক্ষেত্রে কিভাবে ধর্মগ্রন্থ পড়ানো যেতে পারে?
উত্তর-বিভিন্ন ধর্মালম্বী শিক্ষার্থীরা যে স্কুলে থাকে বা যে স্কুলগুলি সেকুলার ভাবনা চিন্তা থেকে চালানো হয় সেই সমস্ত স্কুলে পার্টিকুলার কোন ধর্মগ্রন্থ পড়ানো উচিত নয় বলেই আমি মনে করছি। তবে কোন ধর্মীয় পাঠ যদি কোন নির্দিষ্ট স্কুলের ঐতিগ্য হয় তার বিরোধীও আমি নয়। তবে আমি মনে করি মানুষের সার্বিক উন্নতির জন্য বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে বিশেষ বিশেষ বিষয় নিয়ে যে বিষয়গুলির সাহায্যে মানুষের নৈতিকতা, আদর্শবাদীতা, ব্যক্তি উন্নতি, সামাজিক উন্নতি ঘটানো সম্ভব। সেই বিষয়গুলি নিয়ে পাঠঃ আকারে পড়ানো যেতে পারে।
প্রশ্ন-ধরুন আপনার সহশিক্ষক প্রায় দিন বিদ্যালয়ে দেরী করে আসেন এবং তার ক্লাস আপনাকে নিতে হয় এক্ষেত্রে আপনি কি করবেন?
উত্তর-প্রথমত আমি মনে করি এমন ঘটনা একেবারেই কাম্য নয়। তবে যদি এমন ঘটনা আমি আমার সহশিক্ষকের ক্ষেত্রে কিছু দিন লক্ষ্য করি তাহলে আমি তাঁর অসুবিধার কারণ জানতে চাইবো এবং কি করে সেটি সমাধান করা যায় সেটি দেখব। যদি দেখি কোন জরুরি পরিস্থিতির জন্য এমনটি দুই-একদিন হচ্ছে তাহলে বাচ্চাদের যেন ক্ষতি না হয় তার জন্য যেটা করা দরকার সেটা আমি করব। আর যদি দেখি তিনি ইচ্ছাকৃত ভাবে এমন ঘটান দীর্ঘদিন ধরে করছে তাহলে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন অথোরিটিকে জানাব।
প্রশ্ন-তোমাকে কোন জিনিসটা রাগিয়ে তোলে? রাগ করা কি উচিত?
উত্তর-রেগে যাওয়া হলো মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। কেউ সহজে রাগতে চাই না যতক্ষণ না সেই রকম পরিবেশ তৈরি হয়। আমি সব সময় মিশুকে ও শান্ত থাকার চেষ্টা করি। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে রাগ হয়। যেমন scam, corruption, নারী নির্যাতন ইত্যাদি। এক্ষেত্রে আমি রাগটাকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে বিষয়গুলি বন্ধ করায় চেষ্টা করি।
প্রাইমারি ইন্টারভিউ সংক্রান্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ – Click Here |
প্রশ্ন-আপনার শক্তি ও দুর্বলতার জায়গাগুলি বলুন?
উত্তর-প্রতিটি মানুষের মধ্যেই কিছু strength এবং weakness থাকে, আমার মধ্যে তেমন আছে। আর আমি আত্মসমালোচনা করে দেখেছি, ঠিক কোন জায়গাতে আমি শক্তিশালী এবং কোন জায়গাগুলিতে আমি দুর্বল।
আমার শক্তি হলো আমি একজন সৎ, নমনীয়, কঠোর পরিশ্রমী, আশাবাদী মানুষ। দেশ ও জাতির বৃহৎ সেবায় নিয়োজিত প্রাণ। মানুষকে মানব সম্পদে পরিণত করায় আমার জীবনের অন্যতম ব্রত। দেশ ও জাতিকে দশের স্বার্থে সময় উপযোগী করে জ্ঞানে- বিজ্ঞানে উন্নত করা এবং তেমন জীবনী শক্তিতে ভরপুর একটি জাতি গঠন করাই আমার লক্ষ্য।
আমার দুর্বলতা বলতে গেলে আমি খুব আবেগ প্রবণ, স্পষ্টভাষী, সময় সচেতন এবং স্নেহপ্রবণ। দেশ ও জাতির ক্ষতি করছে এমন কোন বিষয় আমকে খুব আঘাত দেয়। scam, corruption, নারী নির্যাতনের মতো বিষয় দেখলে তখন আমি খুব রেগে যায়। এক্ষেত্রে রাগকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে, এই সমস্ত বিষয়গুলি বন্ধ করার চেষ্টা করি।
প্রশ্ন-তুমি কোন পার্টি কে ভোট দিলে?
উত্তর-যেহেতু আমি ভারতীয় নাগরিক, আমার বয়স 18+ সুতারাং আমার ভোট দেওয়া আমার গণতান্ত্রিক কর্তব্য (আর ভোট দেওয়ার পর তার সম্পূর্ণ গোপনীয়তা বজায় রাখাও আমার কর্তব্য। আর তার জন্যই আমি এই ব্যাপারে কিছু জানাতে পারব না। দুঃখিত স্যার।